Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

বাংলাদেশের কৃষির অগ্রযাত্রায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর

বাংলাদেশের কৃষির অগ্রযাত্রায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর
মোঃ বেনজীর আলম
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক, বাংলাদেশের স্থপতি, উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা-রূপকার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবুজ বিপ্লবের সূচনা করেন। জাতির পিতার কৃষি বিপ্লবের সেই ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ফলে কৃষি ক্ষেত্রে ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সদস্যপদ লাভ করে এবং তখন থেকেই বাংলাদেশ সংস্থাটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে আসছে। জাতির পিতা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন যে দেশের উন্নয়ন করতে হলে কৃষির উন্নয়ন করতে হবে। তাই তিনি সদ্য স্বাধীন দেশে কৃষক ও শ্রমিক মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যখন সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন, তখন উন্নয়ন বাজেটের এক-পঞ্চমাংশ কৃষি উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি কৃষির উন্নয়নে অনেক বৈপ্লবিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশনায় প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানে খাদ্য ও পুষ্টিকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের যে ভিত্তি স্থাপন করে গেছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক দুঃসময়ে দেশের হাল ধরে দূরদর্শী ও সাহসী বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশকে এক বিশাল সফলতায় নিয়ে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই স্বল্পকালীন গত ১০-১২ বছরের শাসনের সাফল্যও অনেক। কৃষিতে সাফল্য বিবেচনায় প্রধান প্রধান কয়েকটি ফসলের ২০০৯ সালের সাথে তুলনায় ২০২০ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চালের উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৩%, গমের ৪৫%, ভুট্টার ৭৭৫%, আলুতে ১০১%, ডালে ৩৭৫%, তেলবীজে ৮১%, সবজির ক্ষেত্রে ৫৭৮% যা বিশ্বে অভাবনীয়। এ দেশে কৃষিকে অগ্রাধিকার দিয়ে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন।
কৃষিবান্ধব নীতি ও কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশ এখন দানাশস্য, সবজি, মাছ ও মাংস উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। সারা বছর এখন শাকসবজি ফলমূল যে কোন মানুষের জন্য সহজলভ্য। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাননীয় কৃষিমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এমপি মহোদয়ের পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সকল দপ্তর-সংস্থা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারছে বিধায় দেশে এখন খাদ্য নিরাপত্তা বিরাজমান। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব পর্যায়ে ধান, পাট, কাঁঠাল, আম, পেয়ারা, আলু, সবজি ও মাছ উৎপাদনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে ৩য়, পাট উৎপাদনে ২য়, পাট রপ্তানিতে ১ম, সবজি উৎপাদনে ৩য়, আলু ও আম উৎপাদনে ৭ম, পেয়ারা উৎপাদনে ৮ম এবং মোট ফল উৎপাদনে ২৮তম স্থান অর্জন করছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক পদক্ষেপে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেকর্ড বোরো উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৯৯ লাখ টন, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এছাড়াও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে এক বছরে ৭ লাখ টন উৎপাদন বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে। করোনাকালের মাঝেও বাংলাদেশ বিশ্বে পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১৬ অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস পালিত হচ্ছে। বিশ্ব খাদ্য দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য Leave no one behind. Better production,better nutrition,a better environment and a better life. এর ভাবানুবাদ “কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়। ভালো উৎপাদনে উত্তম পুষ্টি, সুরক্ষিত পরিবেশ এবং উন্নত জীবন”। সময় বিবেচনায় উপযুক্ত প্রতিপাদ্য। বর্তমানে বিশ্ব এক ভয়াবহ অদৃশ্য শত্রু কোভিড-১৯ নামক ভাইরাসজনিত রোগের সম্মুখীন। এই মহামারি থেকে মুক্তি পায়নি বাংলাদেশও। চরম ক্রান্তিকাল ও সংকট মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ প্রেক্ষিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে খাদ্যের কোন অভাব না থাকলেও সঠিক পুষ্টিজ্ঞানের অভাবে পুষ্টিহীনতায় ভুগছে অসংখ্য মানুষ। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্য মতে দেশের শতকরা ৭০ ভাগ পুরুষ এবং ৭৫ ভাগ মহিলা আয়রন স্বল্পতায় ভুগছে। ভিটামিন ‘এ’ এর ঘাটতি ৮৮% পরিবারে এবং ভিটামিন ‘সি’ এর ঘাটতি ৯০% পরিবারে বিদ্যমান। মহিলাদের মধ্যে জিংক স্বল্পতা ৫৭.৩% এবং ৫ বছরের নিচের শিশুদের জিংক স্বল্পতা ৪৪%। ন্যূনতম খাদ্যশক্তির চেয়ে কম পরিমাণে গ্রহণকারী জনসংখ্যার হার ১৯.৫%। মানুষের খাদ্যক্রয়ে যথেষ্ট আর্থিক ক্ষমতা রয়েছে। পুষ্টিবিদরা সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন সুষম খাবার গ্রহণের কথা বলেন। সুষম খাদ্যের অর্থই হলো দেহের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রতিবেলায় খাদ্যের প্রত্যেকটি উপাদান খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা। আর এজন্য প্রয়োজন সফল উৎপাদন নিশ্চিতকরণ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মিশন বা অভিলক্ষ্য হলো টেকসই ও লাভজনক ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে দক্ষ, ফলপ্রসূ, বিকেন্দ্রীকৃত, এলাকানির্ভর, চাহিদাভিত্তিক এবং সমন্বিত কৃষি সম্পসারণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে সকল শ্রেণির            কৃষকের প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিকরণ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বর্তমানে কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন দেশের সর্ববৃহৎ কৃষি সম্প্রসারণ সেবা প্রদানকারী সংস্থা হিসেবে দেশের কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটি দলভিত্তিক সম্প্রসারণ সেবা প্রদান পদ্ধতির মাধ্যমে                কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উদ্ভাবিত লাগসই সকল প্রযুক্তিসহ এই সময়ে ২০০টিরও বেশি ফসলের উৎপাদনে বীজ ব্যবস্থাপনা; মাটি, সেচ ও সার ব্যবস্থাপনা; ফসল সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা, প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, মানসম্পন্ন কৃষি উপকরণ সহজলভ্যকরণ ও কৃষি প্রযুক্তির সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন দুর্যোগে কৃষকের পাশে থেকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং গ্রামীণ আর্থসামাজিক উন্নয়নে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এই অধিদপ্তর মাঠ ফসলের পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় বিভিন্ন ফসলের এলাকাভিত্তিক অভিযোজন কলাকৌশলও মাঠপর্যায়ে সম্প্রসারণ করছে। এছাড়াও ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি ও মসলা চাষ সম্প্রসারণ করে সবজি ও মসলা উৎপাদন বৃদ্ধি করার কাজ চলমান রয়েছে। প্রচলিত কৃষির পাশাপাশি উচ্চমূল্যের সবজি চাষ এবং অপ্রচলিত ও ট্রপিক্যাল অঞ্চলের বিদেশি ফলমূল জনপ্রিয় করাসহ এর উৎপাদন বৃদ্ধিতেও অবদান রাখছে। পরিবেশ সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচকাজে ভূউপরিস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির সুসমন্বিত ও সুপরিকল্পিত ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সংস্থাটির বিভিন্ন উদ্যোগ ও কার্যক্রমের ফলে বর্তমানে দেশের কৃষি জমি চাষাবাদের ক্ষেত্রে প্রায় ৯৫% যান্ত্রিকীকরণ সম্ভব হয়েছে। ফসল সংগ্রহ ও পরবর্তী ব্যবস্থাপনায় কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিশেষ কর্মসূচির আওতায় কৃষিযন্ত্র ক্রয়ে ৫০-৭০ শতাংশ উন্নয়ন সহায়তা (ভর্তুকি) প্রদান করা হচ্ছে। বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার ২০০৯ সালে দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেই কৃষিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে নানামুখী পরিকল্পনা ও কার্যক্রম শুরু করে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণ তার মধ্যে অন্যতম। জুলাই, ২০১৯ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত কম্বাইন হারভেস্টার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, পাওয়ার টিলারসহ মোট ৭৪৯৮০টি কৃষি যন্ত্রপাতি ডিএইর মাধ্যমে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষিতে অর্জিত সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এবং লাগসই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কৃষকের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সকল ধরনের প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই কৃষিতে সাফল্য বয়ে আনছে ডিএই কর্মীরা। গবেষণা কার্যক্রম ও কৃষকের মধ্যে তারা যোগসূত্র হিসেবে কাজ করেন। দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি সম্প্রসারণ কর্মীদের প্রযুক্তিগতভাবে আরও দক্ষ করে তুলতে কাজ করছে সংস্থাটি। এতে যেমন কৃষকদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক তৈরি হয়, তেমনি সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নও সহজ হয়।
কৃষি উন্নয়নে বাংলাদেশের সার্বিক সাফল্যে আন্তর্জাতিক অনেক স্বীকৃতি অর্জিত হয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো এসডিজি বাস্তবায়নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার এবং জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি কর্তৃক ক্ষুধার বিরুদ্ধে আন্দোলনের অবদানের    স্বীকৃতিস্বরূপ সম্মানজনক ‘সেরেস’ (CERES) পদক প্রাপ্তি, যা কৃষি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতির একটি বড় অর্জন। এখানে কাজের অংশীদার হতে পেরে ডিএই পরিবার গর্বিত।
বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ এর জাতীয় উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ‘ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ’ এর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার অনুসৃত নীতিমালার আলোকেই বর্তমান সরকার কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কারণেই সাম্প্রতিক সময়ে কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ফলে গ্রামীণ ও সর্বোপরি দেশের সার্বিক সমাজ ও অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। দেশে বিদ্যমান যে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে আধুনিক, ব্যয় সাশ্রয়ী ও লাভজনক বাণিজ্যিক কৃষি ব্যবস্থা প্রবর্তনের ক্ষেত্রে প্রণীত রোডম্যাপ কার্যকর করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাংলাদেশের কৃষির অগ্রযাত্রায় কৃষকের সাথে থেকে কাজ করে যাবে।


লেখক : মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা। ফোন: ০২৫৫০২৮৩৬৯, ইমেইল:dg@dae.gov.bd

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon